“লক্ষ্য” শব্দটি পুরো জীবন ধরেই আমাদের ভাবায়। “তোমার জীবনের লক্ষ্য কি?” – এই কথাটির সাথে আমরা শিক্ষাজীবনের একদম শুরু থেকে পরিচিত। এমনকি লেখাপড়া শেষে কর্মজীবনেও “জীবনের লক্ষ্য” নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
সুতরাং এখান থেকে খুব সহজেই উপলব্ধি করা যায় “লক্ষ্য” আমাদের জন্যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা সবাই আমাদের জীবনের লক্ষ্য ও লক্ষ্যে অধিষ্ঠিত হবার প্রশ্নে একটা দ্বিধায় পড়ে যাই।
জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে আপনার প্রয়োজন একটি সুন্দর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ।
এটার কারণ দুইটিঃ
১. লক্ষ্য নির্ধারণ করার আগে সেটা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা না করা এবং
২. লক্ষ্য নির্ধারণের পর সঠিক পরিকল্পনা না করে কাজ শুরু করা।
আমরা যদি এই দুইটি কারণকে খুব ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারি তাহলেই জীবনের লক্ষ্যে অধিষ্ঠিত হওয়া আমাদের জন্যে অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা এই দুইটি কারণ মোকাবেলা করে জীবনের লক্ষ্যকে স্থির করতে পারিঃ
১) পারিপার্শ্বিক পরিবেশঃ
মানুষের মানসিকতা, চিন্তা-ভাবনার উপর তাঁর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। অনুকূল পরিবেশ আপনার চিন্তা-ভাবনাকে অনেক বেশি তীক্ষ্ণ ও মজবুত করবে। পাশাপাশি আপনি খুব সহজেই আপনার কাজের প্রতি মনোযোগী হতে পারবেন।
তাই জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে আপনার প্রয়োজন একটি সুন্দর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। সুন্দর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বলতে বুঝানো হচ্ছে, যে পরিবেশ আপনার চিন্তা-ভাবনাকে সঠিক পথে নিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে মেডিটেশন খুব ভালো কাজে দেয়। ভোর কিংবা মাঝ রাতের নীরব পরিবেশও আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
এছাড়াও নিজের মনের দৃঢ়তা আনার জন্যে গান কিংবা বই পড়ার মধ্যেও ডুবে যেতে পারেন। এটা আপনাকে মানসিক প্রশান্তি এনে দিবে। ফলে আপনি নিজের লক্ষ্যকে নিজের মত করে স্থির করতে পারবেন।
নিজেই নিজেকে বলুন, “প্রতিবন্ধকতা নিয়েই আমি সামনে এগিয়ে যেতে পারবো”।
২) নিজেকে উৎসাহ দিনঃ
যখন আপনি জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে যাবেন বা লক্ষ্য নিয়ে ভাবতে যাবেন তখন প্রতিবন্ধকতাগুলো সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু প্রতিবন্ধকতাগুলোকে মাথার ভেতর পুষে রাখা ঠিক হবে না। কেননা প্রতিবন্ধকতাগুলো আপনার মনের ভেতর একটা ভীরু মনোভাব তৈরী করবে।
প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবেলা করার জন্যে একটা পরিকল্পনা করে ফেলুন এবং সেগুলোকে কাগজে লিখে ফেলুন। অতঃপর প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন। তারপর নিজের ভেতর প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবেলা করার মনোভাব গড়ে তুলুন।
জীবনের লক্ষ্য ঠিক রাখতে নিজে নিজেকে বলুন, “আপনি পারবেন ।”
যদি প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবেলা করা খুব সময় সাপেক্ষ হয় তাহলে প্রতিবন্ধকতা নিয়েই চলার মনোভাব গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। নিজেই নিজেকে বলুন, “প্রতিবন্ধকতা নিয়েই আমি সামনে এগিয়ে যেতে পারবো”।
নিজেকে প্রচুর উৎসাহ দিন। যদি নিজেকে উৎসাহ দিতে না পারেন তাহলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। মনে রাখবেন, উৎসাহ হবে আপনার সামনে চলার শক্তি। উৎসাহ আপনার আত্মবিশ্বাস গড়ে দিবে। আত্মবিশ্বাসের ফলে আপনি সহজে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।
৩) মনকে উৎফুল্ল রাখুনঃ
মন হচ্ছে মানুষের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই লক্ষ্য স্থির করার আগে ও পরে সবসময় মনকে উৎফুল্ল রাখতে হবে। কেননা মনের উৎফুল্লতা আপনাকে চাঙ্গা রাখবে। এছাড়াও এটি আপনার চিন্তা-ভাবনায় কিছু ভিন্নধর্মী পরিকল্পনা যোগ করে দিতে পারে।
স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে পদক্ষেপগুলো সাজিয়ে নিন। তারপর সেই পদক্ষেপ অনুযায়ী কাজ করুন।
মনের উৎফুল্লতার জন্যে আপনি প্রতিদিনের রুটিনে একটু পরিবর্তন আনতে পারেন। এটা আপনাকে একঘেয়ামী থেকে মুক্তি দিবে এবং আপনাকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলবে। এছাড়াও আপনি নতুন একটি ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এতে করে একদিকে আপনি নতুন অভ্যাসের আনন্দ পাবেন অন্যদিকে মনের উৎফুল্লতাও পাবেন।
৪) পরিকল্পনাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করুনঃ
পরিকল্পনা নেয়ার ক্ষেত্রে “সময়” একটা বড় প্রভাবক। পরিকল্পনাকে আমরা তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করতে পারি;
১. স্বল্পমেয়াদী ,
২. মাঝারি মেয়াদী,
৩. দীর্ঘমেয়াদী।
জীবনের লক্ষ্য স্থিরের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন। কিন্তু মনে রাখবেন, স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনাকে অবশ্যই মাঝারি মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সাথে যুক্ত করতে হবে। কেননা মাঝারি মেয়াদী পরিকল্পনাগুলোই একটা সময় স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায় রূপ নিবে।
স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে পদক্ষেপগুলো সাজিয়ে নিন। তারপর সেই পদক্ষেপ অনুযায়ী কাজ করুন। এসময় অবশ্যই পরিকল্পনা নেয়ার পূর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন করে নেবেন। স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার প্রধান সুফল হলো – এটি আপনাকে বারবার অনুপ্রাণিত করবে।
অন্যদিকে, এটি নিজের গতিবিধি কিংবা উন্নতির তৎক্ষণাৎ একটি বিবরণ দিবে। তাই বৃহৎ কিংবা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করার আগে সেগুলোকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে ভেঙে নিজের লক্ষ্য স্থির করুন।
৫) লক্ষ্যকে নির্দিষ্ট রাখুনঃ
লক্ষ্য স্থির করার আগে বারবার ভাববেন। প্রয়োজন হলে সময় নিয়ে ভাববেন কিন্তু লক্ষ্য স্থির করার পরে সেটাকে আর পরিবর্তন করবেন না। ধরুন, আপনি একটি তাল গাছে উঠবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গাছে উঠার জন্যে প্রস্তুতি নিলেন এবং কিছুদূর উঠেও গেলেন। কিন্তু কিছুদূর গিয়ে আপনি সিদ্ধান্ত বদলালেন এবং সিন্ধান্ত নিলেন বট গাছে উঠবেন। আপনি তারপর তাল গাছ থেকে নেমে গেলেন এবং বটগাছে উঠার প্রস্তুতি নিতে থাকলেন।
জীবনের লক্ষ্য স্থির করার আগে ও পরে সবসময় মনকে উৎফুল্ল রাখতে হবে।
এখানে লক্ষ্য করুন, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে আপনার কিছু সময় নষ্ট হয়েছে এবং নিজের মনবলেও কিছুটা আঘাত লেগেছে। কিন্তু আপনি যদি শুরুতেই বটগাছে উঠার পরিকল্পনা নিয়ে নিতেন তাহলে সময় বাঁচত এবং আপনার মনোবলও চাঙ্গা থাকত। তাই লক্ষ্য স্থির করে কাজ শুরু করুন।
৬) লক্ষ্যকে নিজের আয়ত্তের মধ্যে রাখুনঃ
জীবনের লক্ষ্য স্থির করার সময় খুব উচ্চাভিলাষী হবেন না। নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে জেনে লক্ষ্য স্থির করুন। কাল্পনিক বিষয়কে লক্ষ্য হিসেবে নেবেন না। বাস্তব কিছুকেই লক্ষ্য হিসেবে স্থির করুন।
উদাহরণসরুপ বলা যায়, আপনি উড়োজাহাজ নিয়ে মহাকাশে যাত্রা করতে পারবেন না। কিন্তু মহাকাশযান নিয়ে মহাকাশে যাত্রা করতে পারবেন। সুতরাং “উড়োজাহাজ নিয়ে মহাকাশ যাত্রা” যদি আপনার লক্ষ্য হয় তাহলে সেটি সঠিক হবে না।
তাই লক্ষ্য স্থির করার আগে বাস্তবতা নিয়েও ভাবুন। নিজের প্রতিবন্ধকতার সাথে যুদ্ধ করে এবং নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে লক্ষ্য পূরণের সিদ্ধান্ত নিন। আকাশ-কুসুম পরিকল্পনা আপনাকে কেবলই হতাশায় ভোগাবে।
৭) লক্ষ্যকে ক্রমিক আকারে সাজানঃ
লক্ষ্যের সাথে লক্ষ্য জড়িত। আপনার জীবনের লক্ষ্য কিন্তু একটি নয় বরং অনেকগুলো। আবার লক্ষ্যগুলো ক্ষেত্রবিশেষে আলাদা। যেমনঃ সাধারণত একজন স্কুলপড়ুয়া ছাত্র বা ছাত্রীর লক্ষ্য হবে – “ক্লাসে প্রথম হওয়া”।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ঠিক সেই মানুষটিরই লক্ষ্য হবে “প্রতিযোগিতা থেকে পুরষ্কার ছিনিয়ে আনা”। মানুষের জীবনের লক্ষ্যগুলোও এমনই। কিন্তু সব লক্ষ্যকে এক কাতারে ফেলবেন না।
নির্দিষ্ট সময় বেঁধে লক্ষ্য পূরণ করা মানুষেরা জীবনের পথচলায় এগিয়ে থাকে।
আপনাকে প্রতিটা লক্ষ্যের গুরুত্ব, সময়, কাজের ধরণ, ব্যপ্তিকাল, লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় গুণাবলির বিচারে লক্ষ্যগুলোকে ক্রমিক আকারে সাজাতে হবে। তারপর ক্রমিক অনুযায়ী আপনাকে সেগুলোর মোকাবেলা করতে হবে। এখানে অবশ্যই সামগ্রিকতা ও ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।
মনে রাখবেন, একটি লক্ষ্য পূরণ করতে পারলেই আপনি অনেকখানি এগিয়ে যাবেন। অন্যদিকে, একটি লক্ষ্য পূরণ না করতে পারলে আপনি পিছিয়ে যাবেন। তাই খুব চিন্তা-ভাবনা করে লক্ষ্যকে সাজান। যেগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিৎ সেগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিন।
৮) সময়সীমা নির্দিষ্ট করে কাজ করুনঃ
মানুষের জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। এই কম সময়ের মধ্যেই মানুষকে নিজ কাজকর্মের মাধ্যমে জীবনকে মূল্যবান করে তুলতে হয়। সুতরাং জীবনের পথচলায় নষ্ট করার মত অতিরিক্ত সময় আপনার নেই। তাই একটি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।
মনকে স্থির করুন। নিজেকে অনুপ্রেরণা দিন। মনোবল শক্ত করুন। অতঃপর কাজে মনোযোগ দিন।
একটি কাগজে কাজ শেষ করার ডেডলাইন লিখে ফেলুন। ডেডলাইনের থেকে কম সময়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনি নিজের সামর্থ্যের পরিচয় পাবেন এবং এটি আপনার সামর্থ্যকে বাড়িয়ে দিবে ধীরে ধীরে।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ প্রোগ্রামের অধীনে ১৯৭৯ সালে একটি গবেষণা চালানো হয়। সেখানে একটি শ্রেণীর সবাইকে লিখিত ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে বলা হয়। সেখানে ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর কোন লক্ষ্য ছিলো না, ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর অলিখিত লক্ষ্য ছিলো এবং বাকী ৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর লিখিত লক্ষ্য ছিলো।
একটি লক্ষ্যে পরাজিত হলে আরেকটি লক্ষ্যকে আকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
দশ বছর পর তাদের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে দেখা যায় যে, যে ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর অলিখিত লক্ষ্য ছিলো তাদের উপার্জন লক্ষ্যহীন ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থীদের থেকে দ্বিগুণ। কিন্তু যে ৩ শতাংশের লিখিত ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিলো তাদের উপার্জন ছিলো ১৩ শতাংশ অলিখিত লক্ষ্যধারীর চেয়েও প্রায় ১০ গুণ।
সুতরাং, নির্দিষ্ট সময় বেঁধে লক্ষ্য পূরণ করা মানুষেরা জীবনের পথচলায় এগিয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজের চেষ্টা জীবনের লক্ষ্য পূরণের জন্যে অনেক জরুরী।
৯) কর্ম-পরিকল্পনা তৈরী করাঃ
লক্ষ্যকে ছুঁয়ে দেখতে চাইলে কর্ম-পরিকল্পনা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কর্ম-পরিকল্পনার অভাবে লক্ষ্য অর্জন করা আপনার জন্যে অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। তাই লক্ষ্যকে অর্জন করতে চাইলে কর্ম পরিকল্পনা গড়ে তুলুন। প্রতিটা পদক্ষেপে একটি বিকল্প পরিকল্পনা রাখুন।
একটি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।
বিকল্প পরিকল্পনা আপনাকে পিছিয়ে পড়ার থেকে বিরত রাখবে। কর্মপরিকল্পনা সাজানোর জন্যে একটি ফ্লো-চার্ট বা চেকলিস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। অতঃপর এই ফ্লো-চার্ট কিংবা চেকলিস্টকে সবসময় চোখের সামনে রাখুন।
এমনকি চাইলে মোবাইলে ওয়ালপেপারও বানিয়ে রাখতে পারেন।
তবে অবশ্যই নিজের অগ্রগতি চেকলিস্টে কিংবা ফ্লো চার্টে চিহ্নিত করবেন। এতে করে আপনি উৎসাহ পাবেন এবং নিজের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এছাড়াও কোন কাজ সম্পাদনের পরে সংশ্লিষ্ট কারো কাছে থেকে সে বিষয়ে সমালোচনা কিংবা রিভিউ নিতে পারেন। এটি আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
জীবনের পথচলায় নষ্ট করার মত অতিরিক্ত সময় আপনার নেই। তাই একটি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করুন।
১০) পরাজয়ের সাথে আপস নয়ঃ
লক্ষ্য স্থির করে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার পরেও ভাগ্য আপনার সহায় নাও হতে পারে। কিন্তু পরাজয়ে থেমে গেলে পিছিয়ে পড়বেন। পরাজয়ে আপনি থেমে গেলে সবকিছুই থেমে যাবে। ভাঙা স্বপ্নকে জোড়া লাগিয়ে নতুন করে শুরু করতে হবে। লক্ষ্যচ্যুত হওয়া যাবে না।
লক্ষ্য ঠিক করার আগে শপথ করে নিন “পরাজয়ের সাথে আপস নয়”।
একটি লক্ষ্যে পরাজিত হলে আরেকটি লক্ষ্যকে আকড়ে ধরে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পরাজয়ের পর, যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারেন তাহলেই আপনার সাধনা পূর্ণতা পেতে আরম্ভ করবে। ভাগ্য আপনার সাহসী মনোভাবের অনুকূলে চলে আসবে। তাই লক্ষ্যে ঠিক করার আগে শপথ করে নিন “পরাজয়ের সাথে আপস নয়”।
১১) লক্ষ্যকে পেতে কাজ শুরু করে দেওয়াঃ
কৌশল অনুযায়ী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু করে দিন। এটি জীবনের লক্ষ্য পূরণের একটা অন্যতম প্রধান শর্ত। কারণ তাহলেই আপনি লক্ষ্যের দিকে একধাপ এগিয়ে যাবেন। কাজ শুরু করার আগে পুরো পরিকল্পনাকে আরেকবার পরখ করে নিন।
মনকে স্থির করুন। নিজেকে অনুপ্রেরণা দিন। মনোবল শক্ত করুন। অতঃপর কাজে মনোযোগ দিন। প্রতিটা মানুষই চায় জীবনে সফল হতে। জীবনে সফল হতে লক্ষ্যের ভূমিকা অনেক বেশি। তাই এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে স্থির করা উচিৎ।
জীবনের লক্ষ্য স্থির করে সফল ভাবে আপনি এগিয়ে যান – এটাই আপনার কাছে পাই ফিংগারস মোটিভেশনের কামনা। আর আপনি যদি একজন স্বপ্নবাজ মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য আছে অভিযাত্রী।